পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খালেদুজ্জামান খান ওরফে ফোরকান মাস্টারের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে দলের ভেতরেই প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন।
সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া কিছু ফুটেজে দেখা যায়, ফোরকান মাস্টার শেখ রাসেলের স্মরণে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ফুল দিচ্ছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ছবিও ছড়িয়ে পড়ে। এসব তথ্য সামনে আসার পর বিএনপির ভেতরে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, ফোরকান মাস্টারের কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। স্থানীয় নেতাদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, ইউনিয়ন বিএনপির একজন প্রচার সম্পাদককে আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ফোরকান মাস্টার জড়িত। একইভাবে, বিএনপির এক কোষাধক্ষ্যের মায়ের ওপর হামলার পেছনেও তাঁর ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেছেন অনেকে।
এ নিয়ে ফেসবুকে কনকদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের এক নেতা স্ট্যাটাস দিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, এসব তথ্য ফাঁস করায় ফোরকান মাস্টার তাঁর বাড়িতে ‘সন্ত্রাসী’ পাঠিয়ে হামলা ও তল্লাশি চালান।
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের একাংশ ফোরকান মাস্টারকে দল থেকে বহিষ্কার ও তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁকে আইনের আওতায় আনতেও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা ও জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা জানান, বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির নজরে আনা হয়েছে।
ফোরকান মাস্টার সম্পর্কে এসব অভিযোগে কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। দলে তাঁর অবস্থান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—তিনি বিএনপির নাকি আওয়ামী ঘরানার